শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, ওসি আমিরুলকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, ইউএনও’র ওপর হামলা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবির ওসি ইমাম জাফর জানান, সাত দিনের রিমান্ডে থাকা দুই আসামি নবিরুল ও সান্টুকে বিশেষ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।
তদন্তকারী এ কর্মকর্তা আরও জানান, রিমান্ডে থাকা দুই আসামির কাছে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই আবারও রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হকের রিমান্ডের আজ ষষ্ঠ দিন চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র বাসার নাইটগার্ডকে বেঁধে রেখে পেছন দিকের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।