ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাব কেটে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর চালু ও চট্টগ্রাম বন্দরে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা এবং বন্দরে পণ্য খালাসের পাশাপাশি জেটিতে ভিড়ছে জাহাজ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি, সিসিটির সব জাহাজ বহিরনোঙরে পাঠিয়ে দেয়। বন্দর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজও সরিয়ে নেয়া হয়। সমুদ্রবন্দরে নিজস্ব সংকেত ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়।
সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল সাড়ে আটটা থেকে জাহাজগুলো ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। বহিনোঙর থেকে জিসিবি, এনসিটি, সিসিটিসহ বিভিন্ন স্বার্থে জাহাজ ভিড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ কাজে বন্দরের সাতটি টাগবোট সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি, পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ
তাছাড়া পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি বন্দরে জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে। কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বন্দরে প্রথম ভিড়েছে বাল্ক ক্যারিয়ার ‘এমভি হ্যাপি হিরো’।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উড্ডয়ন/অবতরণ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পর শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করেছে সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মাস্কাট থেকে আসা ফ্লাইটটি অবতরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসলিম আহমেদ।
তিনি জানান, শিডিউল, রিশিডিউল অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো উড্ডয়ন ও অবতরণ করবে।
এর আগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দর সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: মোংলা-পায়রায় ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত