অভিযানে গিয়ে উদ্ধার করা ইয়াবা ও টাকার বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার তিন পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে হাজির করলে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জিহান সানজিদা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুনঃ শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তার হওয়া তিন পুলিশ কনস্টেবল হলেন— সাতকানিয়া থানার ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল বিমল চাকমা (৪৬), শাহ মোহাম্মদ হাসান (২৭) ও আরাফাত নাজিম উদ্দীন (২৬)। গ্রেপ্তার অন্য তিন জন হলেন-পুলিশ সোর্স সোলায়মান, মাদক ব্যবসায়ী বেলাল ও আরাফাত।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, তদন্তে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) জাকারিয়া রহমান জিকু্ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করবো না। আপনি এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’
সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট সাতকানিয়ার ঢেমশা নাপিতের চর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতকানিয়া থানা পুলিশের ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল বিমল চাকমা, শাহ মোহাম্মদ হাসান ও আরাফাত নাজিম উদ্দীন কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে মাদক ও মাদক বিক্রির টাকা জব্দ করেন তারা। কিন্তু বিষয়টি ওসিসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের না জানিয়ে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ও টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দেন তিন পুলিশ সদস্য। পরে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যও বিষয়টি স্বীকার করেন।
আরও পড়ুনঃ ৯৯৯ এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানার ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তিন পুলিশ কনস্টেবল ও পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীসহ আট জনের বিরুদ্ধ মামলা করেন। এদের মধ্যে পুলিশ সোর্স সোলায়মান, মাদক ব্যবসায়ী বেলাল ও আরাফাতও রয়েছেন। মামলার পরপরই অভিযুক্ত তিন পুলিশ কনস্টেবলসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।