শুক্রবার রাতে চরণদ্বীপ ইউনিয়নের এ ঘটনায় নাছিরের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আলী মদন ও ছোট ভাই লোকমান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ঘটনায় জড়িত স্থানীয় হাছি মিয়ার দুই ছেলে শওকত ও জসিমকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে চরণদ্বীপের ধনাঢ্য ব্যক্তি খলিল তালুকদার এলাকায় যাকাতের টাকা বিলি করছিলেন। এ সময় জসিম ও লোকমানের মধ্যে বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তখন জসিমের ভাই শওকত বন্দুক দিয়ে গুলি চালালে লোকমানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা তার ভাই নাছির ও বাবা আলী মদন গুলিবিদ্ধ হন। পরে নাছিরের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে বোয়ালখালী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার এবং আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে শওকত ও তার ভাই জসিমকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’
সূত্র জানায়, নিহত নাছির স্থানীয় যুবলীগের নেতা। তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও ছিনতাইসহ সাতটি মামলা রয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
অন্যদিকে, শওকত অপর এক যুবলীগ নেতা মাহলুমের অনুসারী। নাছির আর শওকতের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।