দেড় কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে নওয়াব আলী জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতির মামলায় আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামি নওয়াব আলী। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে আদালত নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাবেক কাউন্সিলরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা
তিনি বলেন, এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে ২০২০ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত গোলজার বেগম, তার স্বামী এসআই নওয়াব আলীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামি গোলজার বেগম ৮ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। তিনি এখন জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে দুদকের তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালে দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে দুদক ঢাকা কার্যালয়ে মামলাটি করেছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন নওয়াব আলী। বর্তমানে তিনি এসআই পদে কর্মরত। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। গোলজার মাছ চাষ থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন বলে কাগজপত্রে দেখালেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ এক হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে।
আরও পড়ুন: তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব