নিহত রূপন দাশ (৫৫) ওই এলাকার যতীন্দ্র দাশের ছেলে।
রূপন দাশ ও তপন নামে আরেকজনের সাথে জামিতে করা করা স্থানীয় সুজন বসু বলেন, ‘আমি, রূপনদা ও তপনদা কৃষি কাজ করতে সকাল ৬টার দিকে জমিতে আসি। এক সময় হঠাৎ পেছন থেকে মানুষের চিৎকার শুনতে পায়। পেছন ফিরে দেখি বড় একটি হাতি। আমি চিৎকার দিলে আমার সাথে থাকা রূপনদা ও তপনদা দৌড় দেয়। কিন্তু কীভাবে যেন হাতিটি রূপনদাকে ধরে ফেলে।’
‘আমরা আর পেছনে দেখিনি। কিছু দূর গিয়ে দেখলাম আমাদের মধ্যে রূপনদা নেই। পরে এলাকার লোকজনকে চিৎকার করে ডাকি এবং সবাই একসাথে মাঠে গিয়ে দেখি রূপনদা জমিতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন,’ যোগ করেন তিনি।
বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘বাড়ির পাশে সবজি খেতে কাজ করার সময় হাতির কবলে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রূপন দাশ। তার স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বোয়ালখালীতে লোকালয়ে আসা বন্য হাতির আক্রমণে এক শিক্ষকসহ তিনজন নিহত হয়েছিলেন।