মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আমিরুল ইসলামের আদালত এই মামলার পূর্ণাঙ্গ আদেশ দেন।
তবে গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালত এ মামলার সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেছিলেন বলে জানান মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ।
দণ্ডিত আসামি জসিম উদ্দিন নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নগরীর চাঁন্দগাও থানা এলাকায় ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল দুপুরের দিকে বিকাশের এজেন্টদের কাছ থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা সংগ্রহ করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের স্টাফ মো. মেহেদী টেম্পু যোগে সিএন্ডবি এলাকা থেকে চান্দগাঁও আবাসিক এ-ব্লকে যাচ্ছিলেন। যাত্রী উঠানামা করতে শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্প এলাকায় টেম্পু থামলে আসামি জসিম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা টেম্পু থেকে মেহেদীকে নামিয়ে প্রথমে কুপিয়ে আহত করে এবং টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার গেঞ্জির ভেতর থাকা আরো এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ছিনতাই করে।
এ ঘটনায় বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর মো. শাহ আলম বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিনকে আটক করেন। জসিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জসিম উদ্দিন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি প্রদান এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে বিচারক মো. আমিরুল ইসলামের আদালত এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। আসামি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ইসহাক বলেন, ‘আসামি ২০১৫ সালে ১২ এপ্রিল থেকে কারাগারে রয়েছেন। তিনি প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর হাজতবাস করেছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’