সোমবার বিকালে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার নিশ্চিতপুর গ্রামের মো. আবুদল হাসেমের ছেলে বাস চালক মো. সবুজ (৩২), বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার গিয়াঘাট এলাকার সুকুমার মণ্ডলের ছেলে সুপারভাইজার পলাশ মণ্ডল (২৮) এবং বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ভরসাকাঠি এলাকার আব্দুর রব হাওলাদার ছেলে হেলপার মো. নাসির হাওলাদার (৩০)।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে চার খুন মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় চালক মো. সবুজ ও হেলপার মো. নাসির হাওলাদার উপস্থিত থাকলেও সুপারভাইজার পলাশ মণ্ডল (২৮) হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক আছেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপম চক্রবর্তী বলেন, মাদক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় শ্যামলী বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে ১০ বছর করে এবং হেলপারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনাদায়ে আরও ছয মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ওই তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। মোট ১০ জনের সাক্ষীগ্রহণ শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্র রাকিব হত্যা মামলায় সহপাঠীর মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুন কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া শ্যামলী বিজনেস ক্লাস যাত্রীবাহী বাসকে (ঢাকা মেট্টো-ব ১৪-৯৮৬৪) রাত ৩টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার সৈকত হোটেলের সামনে থামানোর সংকেত দেয় র্যাব।
র্যাব টিমকে দেখে বাসটি রেখে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব তাদের আটক করে। পরে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের দেহ ও বাস তল্লাশি করে ১৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।