একই মামলায় বাকি ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
সাত আসামির উপস্থিতিতে অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তাজুল ইসলাম ও মহি ফিটার।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার অভিযোগে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁন মিয়া, দুলাল মিয়া, মজিবর, আব্দুল মান্নান, আরিফ, জলিল, সাইফুল ইসলাম, দুলাল ও শফিকুল ইসলাম। তাদের মধ্যে শেষের চারজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঘটনা ঘটে। ওই সময় সিলেট থেকে পাথর বোঝাই করে বলগেটটি মুন্সিগঞ্জের সিমেন্ট কারখানায় আসে। পাথর ওই কারখানায় খালাস করে দেবার পরে বলগেটটির মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। বলগেটের মেশিন ঠিক করার জন্য আসামি মহী ফিটার ও আসামি তাজু ফিটারকে বলগেটের চালক নাসির খবর দেয়। ওরা এসে বলগেটটা ঠিক করে টেস্ট করতে গিয়ে চরে তথা বক্তাবলীর চরে নিয়ে ইট খোলার পাশে লাগিয়ে দেয়। তখন বলগেটে নাসির মিয়া, মঙ্গল, ফয়সাল ও হান্নান ছিল। বক্তাবলী চরে বলগেটটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় যখন পাওয়া যায় তখন চারজন কর্মচারী বলগেটের মাঝি মাল্লা নাসির মিয়া, মঙ্গল, ফয়সাল, হান্নানকে পাওয়া যায়নি। পরে মেঘনা নদীর চরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নাসির মিয়ার ও মঙ্গলের লাশ পাওয়া যায়। বাকি দুইজন ফয়সাল ও হান্নানের লাশ পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ বলগেটটা জব্দ করে। ওইদিনই এসআই বদরুল আলমকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত শেষে ১২ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০০৯ সালের ২৬ মার্চ চার্জশিট গৃহিত হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ইব্রাহিম মারা যান।
আরও পড়ুন: হত্যার দায়ে ফেনী ও পিরোজপুরে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ফজলুর রহমান জানান, ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল মামলাটি আদালতে বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য বদলী হলে বিচারক বাদী এরসাদ মিয়া, ম্যাজিস্ট্রেট, সুরতহাল, আইওসহ ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে এবং উপস্থাপিত কাগজপত্র প্রদর্শনীভুক্ত করে আজ এই রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নবী হোসেন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড