জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, সোমবার ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বরিশাল সদর উপজেলার আওতায় কীর্তনখোলা এবং মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালাবদর নদীতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন:দুই মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু
তিনি জানান, জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। আটকদের জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউর রাব্বী এবং অং মাচিং মারমা কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অভয়াশ্রমগুলোতে যেকোন ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করলে শাস্তি প্রদান করা হবে।’
আরও পড়ুন:বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আব্দুল জলিল খান (৫৫), সুজন (২১), ফারুক চকিদার(৫২)। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত খলিল হাওলাদারের (১৯) বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়। অভিযানে ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার দিবাগত শেষ রাতে বরিশাল নগরীর রূপাতলী থেকে জাটকা পরিবহনের দায়ে তিনজনকে আটক করে নৌপুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে দুজনকে ১৫ দিনের জেল ও এক জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দস্তগীর।
বরিশাল সদর নৌথানার এসআই অলক চৌধুরী জানান, অভিযানে ৪০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বরিশাল জেলার সদর উপজেলার কীর্তনখোলা নদীর জুনাহার পয়েন্ট থেকে হিজলা উপজেলার মেঘন নদীর কালীগঞ্জ এবং মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ৮২ কিলোমিটার অভয়াশ্রমে সকল ধরনের মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস অধিদপ্তর। মূলত ইলিশসহ দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। এই সময়ে জেলেদের জন্য প্রণোদনা দিয়ে থাকে সরকার।