চাঁদপুরের হরিণা এলাকায় মেঘনা নদীতে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে চার যাত্রী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ বের করা এবং দায়ীদের শনাক্ত করতে এ কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ৮ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলামকে।
কমিটির সদস্যরা হলেন— নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ এমরান হোসেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি (পরিচালক পদমর্যাদার), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর একজন প্রতিনিধি (পরিচালক পদমর্যাদার), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের একজন প্রতিনিধি ও নৌপুলিশের একজন প্রতিনিধি। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ টি এম মোর্শেদ।
তদন্ত কমিটিকে মেঘনা নদীতে সংঘটিত এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও এডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধান এবং এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তি বা পক্ষগুলো চিহ্নিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চাঁদপুর জেলার হরিণা এলাকায় মেঘনা নদীতে এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও এডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনায় লঞ্চটির চারজন যাত্রী নিহত এবং পাঁচজন যাত্রী আহত হন।