জেলার ১৬টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ১১ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমির মাসকলাই, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। এছাড়াও গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীতে ৬ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। আর একই সময়ে মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ২ সেন্টিমিটার ও ৬ সেন্টিমিটার। শুক্রবার সকালে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ও মহানন্দার পানি ১৪ সেন্টিমিটার ও পুনর্ভবার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ভারি বর্ষণ না হলে পানি আস্তে আস্তে নেমে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে এখন পর্যন্ত জেলার সদর, শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলার মোট ১৬টি ইউনিয়নের ৫৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার নারায়নপুর, আলাতুলি, চরঅনুপনগর, শাজাহানপুর, দেবীনগর, সুন্দরপুর ইউনিয়ন, শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, দুর্লভপুর, উজিরপুর, মনাকষা, ঘোড়াপাখিয়া, ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন ও গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর, আলীনগর, বোয়ালিয়া ও চৌডালা ইউনিয়ন।
তিনি বলেন, এসব এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য এই পর্যন্ত ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার যেমন চিড়া, ডাল, চিনি, লবন, নুডুলস, সোয়াবিন তেল বিতরণ করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, জেলার তিন নদীতে পানি বৃদ্ধিও কারণে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে, মাসকলাই, শাক-সবজি, হলুদ, ধান, পেয়ারা, বোরই, কলা প্রভৃতি।