পানি বৃদ্ধি
যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ফলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বাড়ছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
নদীর তীরবর্তী বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে।
যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের দেড় হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি।’
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।’
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনার পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুকনা খাবারসহ ত্রাণ ও সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিপৎসীমার ওপরে মুহুরীর পানি, ফেনীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত শতাধিক গ্রাম
৪ মাস আগে
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২টি ইউনিট চালু
গত কয়েকদিন ধরে কাপ্তাই হ্রদের আশেপাশে বৃষ্টি হওয়ায় হ্রদের কিছুটা পানি বেড়েছে। এর ফলে কাপ্তাই কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের (কপাবিকে) ২টি ইউনিট একসঙ্গে চালু করা হয়েছে।
বেশ কয়েকমাস ধরে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর সর্বনিন্ম পর্যায়ে নেমে আসায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের শুধু ১টি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল বলে জানান কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
আরও পড়ুন: এক মাস পর চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে আংশিক উৎপাদন শুরু
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে তিনি ইউএনবিকে জানান, গত তিন দিন থেকে এই কেন্দ্রে ২টি ইউনিট চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৩০ মেগাওয়াট এবং ২ নম্বর ইউনিট থেকে ২৫ মেগাওয়াটসহ সর্বমোট ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এতদিন শুধু একটি ইউনিট থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো।
ব্যবস্থাপক আরও জানান, রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদের বর্তমানে পানি থাকার কথা ৭৬.৪০ মিনস সি লেভেল, কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানি আছে ৭৮.৫৫ মিনস সি লেভেল। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিনস সি লেভেল।
উল্লেখ্য, পানির উপর নির্ভরশীল কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সবটুকু বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সর্বনিম্ন দামে বিদ্যুৎ পেলেও হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে না: সূত্র
৫ মাস আগে
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি, সতর্কতা জারি
ভারতের উত্তর সিকিমে ভয়াবহ বন্যা ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশ অংশে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বনে ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে মাইকিং শুরু হয়। সেই সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, সকাল থেকে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করছি। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। এতে সর্বসাধারণকে গরু ও ছাগলসহ প্রয়োজনী জিনিসপত্র নিয়ে সতর্ক থেকে নিকটস্থ বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র/প্রাইমারি/হাইস্কুলে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, বেলা ৩টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে ৫২.০৮ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়। বিপৎসীমার স্তর ৫২ দশমিক ১৫০। এটি বিকাল ৪টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে।
এদিকে, রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ২৭ দশমিক ৪, দিনাজপুরে ৫৪ দশমিক ৪, সৈয়দপুরে ২৭, নীলফামারীর (ডিমলা) ১১ দশমিক ৯, কুড়িগ্রামে ১৫ এবং পঞ্চগড়ে ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার বাঁধ ভেঙে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
১ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি, খুলে দেওয়া হলো স্পিলওয়ের ১৬ গেট
গত কয়েকদিনের অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (কপাবিকে) ১৬ গেইটে ৬ ইঞ্চি করে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।
কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, একসঙ্গে চালু হলো ৫ ইউনিট
তিনি বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি দিন দিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৭ দশমিক ৫৪ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। যা রুলকার্ভ থেকে ছয় ফুট ওপরে।
তিনি আরও বলেন, ফলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে শুক্রবার পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৬ ইঞ্চি খুলে পানি ছেড়ে দিয়েছি। প্রতি সেকেন্ডে এই গেট দিয়ে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হয়ে পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। তবে কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।
তিনি বলেন, কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ড আরও ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫টি ইউনিট থেকে সর্বমোট ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ
মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
১ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: বাগেরহাটের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভৈরব, দড়াটানা, পানগুছি, পশুর এবং বলেশ্বরসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বুধবার সকালে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সকাল থেকে মাঝে মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ২০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করেছে।
এদিকে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে আড়াই ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অর্ধশতাধিক ট্রলার নিয়ে পাঁচশতাধিক জেলে সুন্দরবনের দুবলারচর, আলোরকোল এবং বেদাখালী খালে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বলে বন বিভাগ জানিয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন ভারত উপকূলের ছত্রিশগরে অবস্থান করছে। আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। স্থল নিম্নচাপটি বৃষ্টি ঝরিয়ে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাবে।
মোংলা বন্দরে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় দুই দিন ধরে পাঁচশতাধিক জেলে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ওই সব জেলেরা তাদের ট্রলার নিয়ে নিরাপদ স্থানে রয়েছে। জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে আড়াই ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লা জানান, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সুন্দরবনে আড়াই ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে
২ বছর আগে
কুশিয়ারার আগ্রাসী রূপ: পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিহত ১
সিলেটের বিয়ানীবাজারে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে কুশিয়ারা নদীর ডাইক উপচে এবং কয়েকটি স্থানে ভাঙা ডাইক দিয়ে হুহু করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাথিউরা, তিলপাড়া ও মোল্লাপুর, ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে এসব ইউনিয়নের নতুন করে ৯০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বৈরাগী খশির এলাকার বসতঘর থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাহার উদ্দিন (৪০) নামের ওই আব্দুল্লাহপুর নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত ব্যক্তি ওই পরিবারের গৃহকর্তা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বন্যা: ৬ দিন পর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠা-নামা শুরু
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ থেকে বাহার উদ্দিনের ঘরে পানি উঠে। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্থানীয় বৈরাগীবাজার সিনিয়র মাদরাসা আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠেন। বুধবার বিকালে তিনি তার ডুবে যাওয়া ঘর দেখতে যান। এরপর পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান- তিনি বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে এসে দেখেন, ঘরে পানির মধ্যে তার লাশ ভাসছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বাহারের লাশ উদ্ধার করে বৈরাগীবাজার সিনিয়র মাদরাসা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নব্বইভাগের বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানববেতর জীবন যাপন করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলার ৯৮৭টি পরিবারের প্রায় ছয় হাজার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুত করা ৫৩টি অস্থায়ী আশ্রয় ১০টি ইউনিয়ন ও একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৯৮৭ পরিবারের পাঁচ হাজার ৯২২ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এসব পরিবারের ৬২০টি গবাদিপশুও আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে বৃহস্পতিবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
বিয়ানীবাজার পৌরশহর ছাড়া উপজেলার অন্যান্য হাটবাজারে বন্যার পানি ওঠেছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে জরুরি প্রয়োজনে নৌকা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বৈরাগীবাজার ও কাকরদিয়া এলাকায় প্রধান সড়ক দিয়ে নৌকা চলাচল করতে দেখা গেছে।
সোনাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা, মুড়িয়া ও তিলপাড়া ইউনিয়নের বহুগ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোনাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জলঢুপ-লাতু সড়কের সিংহভাগ তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে টিলাবেষ্টিত নাওয়ালা, দক্ষিণ পাহাড়িবহরসহ আশপাশ এলাকা ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: কুশিয়ারায় পানি বাড়ায় সিলেটের ৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
২ বছর আগে
পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, ভাঙন ঝুঁকিতে ৩৫০ পরিবার
ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। আর এ তীব্র স্রোতের কারণে নদী রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
জানা গেছে, পদ্মা নদী বেষ্টিত ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর লোহারটেক কূলের সংযোগ বাঁধেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়টি। সাথে এ এলাকার প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও বলেন, ভাঙন এলাকায় কিছু বস্তা পানির স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। তবে সেখানে পুনরায় বালুর বস্তা ফেলানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পড়ুন: বন্যা: কিশোরগঞ্জে পানিবন্দি লাখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে
২ বছর আগে
পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ, কুড়িগ্রামে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি
কুড়িগ্রামে গত তিনদিনে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। রবিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সেই সঙ্গে বানভাসী এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,গত তিনদিনে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৯ উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫০টি গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যায় বন্দি সিলেটবাসী
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রৌমারী, উলিপুর ও সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির বেশি অবনতি ঘটেছে। বন্যায় জেলায় প্রায় ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ফসলাদি নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। নদীভাঙন ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরায় বানভাসী মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে।
২ বছর আগে
জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট জেলার নিম্নাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
৪ বছর আগে
ঝালকাঠিতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ি-ঘর প্লাবিত
ঝালকাঠির বিষখালী-সুগন্ধা ও গাবখান নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট বৃদ্ধি ও প্রবল বর্ষণে গত তিনদিন ধরে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে।
৪ বছর আগে