নিহত কৃষক এনামুল হক (৪২) সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা।
রবিবার দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মওলা মিয়ার প্রতিবেশী এনামুল হককে চুর সন্দেহে ওই বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে বাথরুমের বদনা, বালতি ও উঠানে পড়ে থাকা গামলা পরে থাকতে দেখে তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে বেধরক মারপিট ও মাথায় আঘাত করে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম, খোকা মিয়া ও শহিদুল ইসলাম। এতে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এনামুল হক।
কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, ‘রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় এনামুলকে উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
এনামুল হককে অন্যায়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে নিহতের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মানুষের জমিতে কাজ করে সংসার চালাতো। সে চোর নয়, চুরি করতে পারে না।’
সাঘাটার বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই এনায়েত কবির জানান, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহের শরীর ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।