চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে পণ্য রপ্তানির ঘটনা উদঘাটন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এছাড়া জব্দ করা হয়েছে তিন কোটি টাকা মূল্যের সাতটি কনটেইনার ভর্তি রপ্তানির জন্য রাখা পণ্য।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ৯৮ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
রাজধানী ঢাকার মোল্লারটেক এলাকার প্রতিষ্ঠান সাবিহা সাইকি ফ্যাশন।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এলসি জালিয়াতি করে ইতোমধ্যে ২২ কোটি টাকা মূল্যের ৮৫টি চালান রপ্তানি করেছে মর্মে তদন্তে উদঘাটিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাকিল খন্দকার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে ভুয়া এলসির মাধ্যমে বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিদেশে টাকা পাচার করেছে।
এছাড়া এলসির কাগজপত্রের প্রাথমিক তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির কারসাজির প্রমাণও পেয়েছে সংস্থাটি।
চট্টগ্রাম মহানগরীর কাঠগড় এলাকার এসইপিএল ডিপোর মাধ্যমে পণ্যচালানগুলো রপ্তানি হচ্ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে সাত কন্টেইনার আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠানটি ম্যানস টিশার্ট ও লেডিস ড্রেস রপ্তানির ঘোষণা দিলেও আটক করা সাতটি কনটেইনার খুলে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানি ম্যানস্ ট্রাউজার, টিশার্ট, পোলো শার্ট ও বেবি সেট রপ্তানি করছিল বলে জানায় শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাকিল খন্দকার বলেন, এলসি জালিয়াতি করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ২২ কোটি টাকা মূল্যের ৮৫টি চালান রপ্তানি করেছে। বাকি সাত কনটেইনারে থাকা ৯ চালান আমরা আটক করেছি।
সেখানেই আমরা জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি।
তারা কম পণ্য ঘোষণা দিয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করছিল। ওই ৯ চালানে আমরা ১১৮ মেট্রিক টন পণ্য আটক করেছি। যার মূল্য তিন কোটি টাকা। আমরা তাদের সবগুলো রপ্তানি চালান তদন্ত করে দেখবো।
তাই আমাদের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।