শুক্রবার দুপুরে জোয়ারের সময় বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন সড়কে হাঁটু সমান পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। জোয়ারের সময় প্লাবিত হচ্ছে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানিতে বাগেরহাট শহরের কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মেইন রোড, চাউলপট্টি, কাপুড়েপট্টিসহ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে। সড়কে হাঠু সমান পানি জমে থাকার কারণে ব্যবসায়ী এবং বাজারে আসা মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
এছাড়া জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, চিতলমারী এবং কচুয়াসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের সময় প্লাবিত হচ্ছে। তবে ভাটার সময় অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে যাচ্ছে।
জোয়ারে পানির চাপে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হচ্ছে। সুন্দরবনের করমজল এলাকায় হাঁটু পানি জমে গেছে। আম্পানের জলোচ্ছ্বাসের চেয়ে গত দুইদিন ধরে জোয়ারে বেশি পানি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান খান জানান, বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরের অংশ পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় প্রায় সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এর চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়বে বলেও আশঙ্কার কথা জানান তিনি।