মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ওই পাঁচ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন- রুহুল আমিন (৩০), তার স্ত্রী মমেনা খাতুন, আড়াই বছরের ছেলে রোহান, ছোট ভাই ইসমাইল (২৮), ভাইয়ের স্ত্রী আকলিমা (২২)।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ জানান, আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞরা ওই পাঁচজন রোগীর কফ, মুখের লালা ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। পাঁচ রোগীকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন। তারা এখন প্রায় সুস্থ
আক্রান্ত গৃহকর্তা রুহুল আমিন জানান, তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এখন সুস্থ বোধ করছেন। অন্যান্য সদস্যরাও সুস্থ হয়ে উঠছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান গ্রামে আড়াই বছরের এক শিশু স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়। সন্ধ্যার পর তাদের পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওইদিন রাত সাড়ে ৯ টায় তারা সেখানে ভর্তি হন। পরদিন তাদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন আইডিসিআরের সদস্যরা। নমুনা সংগ্রহের পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরদিন রবিবার তাদের আবার ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।