অপর আসামিরা হলেন- সীতাকুণ্ড এলাকার সোর্স রিপন (৩৫) ও হারুন (৩৩) এবং গাড়ি চালক রাজু (২৫)।
বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় দণ্ডবিধির ১৭০/৩৯৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে আড়াই কোটি টাকার ইয়াবার চালান জব্দ
মামলার বাদী জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন নিলোখিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার জহুরুল হকের ছেলে মো. আবু জাফর (৪৩)। তিনি গাজীপুরের গাছা এলাকায় বসবাস করেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) মো. আশরাফুল করিম বলেন, ‘অভিযুক্ত এসআই সাইফুল আলম, কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। এছাড়া দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর মো. আবু জাফর একটি পিকআপ গাড়ি কেনার উদ্দেশ্যে গাজীপুর থেকে সীতাকুণ্ডে আসেন। কিন্তু দরদামে বনিবনা না হওয়ায় তিনি গাড়ি না কিনে সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড পৌর সদর বাসস্ট্যান্ডে শ্যামলী বাস কাউন্টারে অপেক্ষা করতে থাকেন। সেখানে দুজন লোক তার পাশে এসে বসেন। তারা আবু জাফরের কাছে কোন জায়গা থেকে এসেছে জানতে চান।
আরও পড়ুন: কৌশলে হাতে ইয়াবা দিয়ে স্ত্রীকে পুলিশে ধরিয়ে দেন স্বামী!
রাজধানীতে ২৭,৬০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১
এক পর্যায়ে তাদের সাথে যোগ দেয় সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. সাইফুল আলম ও ওসির বডিগার্ড কনস্টেবল মো. সাইফুল ইসলাম। তারা নিজেদের ডিবি হিসেবে পরিচয় দেয় এবং জাফরের কাছে ইয়াবা রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে পেটে ইয়াবা রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে এক্স-রে করান।
কিন্তু ইয়াবা না পেলেও পরে আরও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গাড়ি ক্রয়ের জন্য তার সাথে রাখা ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং ভয় দেখিয়ে একটি গাড়িতে তুলে দেয়। আবু জাফর গাড়িতে করে ঢাকায় চলে যান। কিন্তু অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা এভাবে লুটে নেয়ায় আবু জাফর তা মানতে পারেননি। তিনি পুনরায় সুবিচারের আশায় সীতাকুণ্ড থানায় এসে ঘটনা জানান।
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় ২০ হাজার ইয়াবাসহ আটক ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার