স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানির নিচে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এর ফলে মহাসড়কে ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বন্যার কারণে ফতেপুর সড়কের কিছু অংশ ভেঙে যায় এবং চট্টগ্রামে পানি ওঠায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী গাড়িগুলো প্রবেশ করতে পারেনি। যার কারণে চট্টগ্রাম ও ঢাকার উভয় দিক থেকে যানবাহন চলাচল আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ফেনীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও, লালপোল থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। বিভিন্ন স্থানে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি রয়েছে। যা যাত্রীদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তার বিভিন্ন স্থানে তাবু স্থাপন করে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সীমিত পরিসরে খুলেছে অফিস-ব্যাংক; রাজধানীতে যানজট
কয়েকজন গাড়ি চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার কারণে ফেনী অঞ্চলের মহাসড়ক ডুবে যাওয়ার পর থেকে তারা গত দুই দিন ধরে সেখানে আটকা পড়ে আছেন। ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, বাস, মাইক্রোবাস, জিপ ও ব্যক্তিগত গাড়ি মহাসড়কে আটকা পড়ে আছে।
কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘ফেনীর লালপোল এলাকায় মহাসড়কের কিছু অংশ এখনও পানির নিচে। যার কারণে চট্টগ্রাম ও ঢাকার দুই প্রান্তেই প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলো রাস্তায় আটকা পড়ে দুভোর্গের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকে যারা বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ দিতে যাচ্ছিলেন তারাও বিপাকে পড়েছেন।’
মহিপাল হাইওয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি যে সিলোনিয়া নদীর ওপর ফেনীর লেমুয়া সেতুটি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেকারণে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে ক্ষতি কেমন তা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ আমরা নিজেরাও পানিতে আটকা পড়ে আছি। কোথাও যেতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: যানজটে বিপর্যস্ত রাজধানী: মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ