শনিবার বিকালে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ছয় দিন আগে ফতুল্লার বক্তাবলী রাজাপুর এলাকার সজীবের মালিকানাধীন বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজের একটি ভেকু মেরামতের জন্য ঢাকা থেকে এসেছিলেন প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জিসান ও লিখন সরকার। কাজ শেষে ওইদিন রাতেই বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন ‘বাংলা ক্যাট’ নামের একটি কোম্পানির দুই মেকানিক্যাল প্রকৌশলী।
এর আগে, গত শুক্রবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করে। এর একদিন পর একই এলাকা থেকে লিখন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফতুল্লার বিসিক স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা মো কাজল মিয়া জানান, নিখোঁজ দুই প্রকৌশলীর সন্ধানে গত শুক্রবার সকাল থেকেই বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ডুবুরি দল। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে জিসানের মরদহে উদ্ধার করা হয়। আজকের (শনিবার) চালানো অভিযানে লিখন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
এদিকে দুই প্রকৌশলী নিখোঁজ হওয়ার পর ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো রকম সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে বাধ্য হয়ে জিসানের স্ত্রী রাকিয়া সুলতানা বাদি হয়ে ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিহত জিসানের পরিবারের দাবি, বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজের মালিক সজীব ও কর্মচারি পায়েল ঘটনার বিষয়ে সবকিছু জানেন। কেননা জিসান ও লিখন নিখোঁজের বিষয়টি সজীব একদিন গোপন রেখেছেন এবং তার সাথে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন সময়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে।
তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল রহস্য বের হয়ে আসবে বলে দাবি করেন তারা।