মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় সাড়ে সাত হাজার বস্তা সিমেন্টবোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। শনিবার ভোর পৌনে ৬টায় এ দুর্ঘটনার পর চালকসহ বাল্কহেডের সকলেই তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
প্রথমে চালকসহ তিনজন তীরে উঠে যায়। কিন্তু লস্কর নুরুল ইসলাম (৪৫) ও মিস্ত্রী শরিফুল ইসলামকে (২৮) পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল ও নৌ পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে খবর আসে তারা সাঁতরে একটি লঞ্চে উঠে সদর ঘাট হয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছে। পরে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখন বাল্কহেডটি ধলেশ্বরীর ৫০ ফুট গভীরে তলিয়ে আছে।
মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটের কাছে ঢাকার সদরঘাটমুখী এমভি জাহিদ-৩ লঞ্চের ধাক্কায় সিমেন্টবাহী বাল্কহেড ৫জনসহ ‘চার ভাই-৬’ ধলেশ্বরী নদীতে ডুবে যায়। পরে তীরে উঠা সুকানি সুফিয়ান মিয়া, লস্কর বিল্লাল হোসেন ও লস্কর জুয়েল রানা জানান, তাদের আরও দুই স্টাফ নিখোঁজ রয়েছে। একারণেই উদ্ধার অভিযান চলে। তবে তাদের খোঁজ পাওয়ার পরই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়। তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের চরমুক্তারপুরের ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে সিমেন্ট ভর্তি করে বাল্কহেডটি পাবনার নগরবাড়ি যাচ্ছিল।