আরও পড়ুন:প্রসবের পর নবজাতককে বাঁশঝাড়ে ফেলে গেলেন মা
ভুক্তভোগীর স্বামী শার্শা উপজেলার গাজীপুর গ্রামের আয়ুব হোসেন অভিযোগ করেন, শুক্রবার গভীর রাতে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী আন্না খাতুনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। শনিবার বিকালে তার স্ত্রীর গর্ভে থাকা শিশুর পা বের হয়েছিল। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি
আয়ুব হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীর গর্ভে থাকা শিশুর পা আবার বেরিয়ে এলে সে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। তখন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সিজার করার জন্য কোনো ডাক্তার পাওয়া যায়নি। এমনকি কোনো নার্সও আসেননি সহযোগিতা করতে। একপর্যায়ে হাসপাতালের আয়া মোমেনা খাতুন এগিয়ে আসেন এবং শিশুর পা ধরে টানাটানি করেন। এতে শিশুটির মাথা এবং ধড় আলাদা হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে পেট থেকে ধড় বের হলেও মাথাটি রয়ে গেছে ভেতরে।
আরও পড়ুন:হাসপাতাল ভবনের কার্নিশে ঝুলে ছিল নবজাতকের লাশ
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও রাত ১০ টা নাগাদ কোনো ডাক্তার আসেনি।
এই বিষয়ে জানার জন্য হাসপাতালের সুপার দিলীপকুমার রায় এবং আরএমও আরিফ আহম্মেদকে বারবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন:সিলেটে কবরস্থানের পাশের ড্রেনে মিলল নবজাতকের লাশ
এই ঘটনার পর গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলেও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, গর্ভের সন্তানের বয়স ছিল মাত্র ২০ সপ্তাহ এবং ওজন ছিল মাত্র ৩৯৯ গ্রাম। আয়া কখন কীভাবে কী করেছে তা জানা নেই বলে দাবি করেছেন নার্সরা।
আরও পড়ুন:নাটোরে পুকুরে মিলল নবজাতকের লাশ
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।