রাজশাহী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদি মাসুদ জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- নগরীর ডাঙ্গেরহাট এলাকার শামিম (৪৮) ও তার মেয়ে রশ্মি (৭) এবং রতন আলী (৩০)।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে একলাস আলী (২২) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলের পাশেই তার লাশ ভেসে উঠে। আর সকালে চারঘাট এলাকা থেকে মনি খাতুন (৪০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে ঘটনার দিন রাতে মরিয়ম নামে এক শিশুর লাশ পাওয়া যায়।
নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লুটিএ’র ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রবল স্রোতের কারণে রাজশাহী মহানগরীর চরখিদিরপুর সংলগ্ন পদ্মা নদীতে বিয়ে বাড়ির যাত্রী থাকা দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকা দুটিতে অন্তত ৩৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশু ছিল। এ ঘটনায় কনেসহ নয়জন নিখোঁজ হন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও নৌ পুলিশ রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালায়। সকালে তাদের সাথে যুক্ত হয় বিআইডাব্লুটিএ’র ডুবুরি দল।
এ নৌকাডুবির ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে।
এছাড়া, পদ্মাপাড়ে নিখোঁজ ও হতাহতের অনুসন্ধানে সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নিহতের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়া, আহতের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।