এতে সীমান্তবর্তী নদী যাদুকাটা, চলতি নদী, চেলানদী হয়ে সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, শনিবার রাত ১২টার পর থেকে সদর উপজেলার বাদেরটেক এলকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানি মানুষের বাড়ির দরজা পর্যন্ত উঠে এসেছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হাওরের সবকটি সুইচ গেট খুলে দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে সতর্ক করে চিঠিও দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১২টায় ঘোলঘর পয়েন্ট দিয়ে সুরমা নদীর পানি ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর বিপদসীমা অতিক্রম করে ৬ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সহিবুর রহমান জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩২৭ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি যাদুকাটা নদী, চলতি নদী ও চেলা নদী দিয়ে বাংলাদেশে ঢল হয়ে প্রবেশ করছে বলে জানান তিনি।