কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হল সেই স্বর্ণালঙ্কার। ফেরত দেওয়া হলো প্রকৃত মালিককে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন এক সঙ্গে সৌদি আরবে থাকার কারণে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে মানিকগঞ্জের বাবুল মিয়ার সঙ্গে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বসতনগর গ্রামের মো. সাইমন উদ্দিনের।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পুলিশ সেজে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
সম্প্রতি ছুটি নিয়ে সাইমন সীতাকুণ্ডে আসার সময় বন্ধু বাবুল মিয়া তাকে দিয়ে বাড়ির জন্যে ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার পাঠায়।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সাইমন দেশে ফিরে প্রতারণা করেন। দেশে ফিরেই তিনি তার মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। স্বর্ণগুলো বাবুল মিয়ার পরিবারকে না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন।
বিষয়টি বুঝতে পেরে বাবুল মিয়ার ভাই আব্দুল খালেক চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
জিডির পরিপ্রেক্ষিতে সীতাকুণ্ড থানার একটি টিম শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অভিযান পরিচালনা করে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে সাইমন উদ্দিনের কাছ থেকে ১২টি স্বর্ণের চুড়ি ও একটি স্বর্ণের বারসহ ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে।
পরে তা বাবুল মিয়ার ভাই খালেককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, বাদী আব্দুল খালেক সাইমন উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকদ্দমা করতে রাজি না হওয়ায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: মাস্টারকার্ড ও ভিসা কার্ড প্রতারণা চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
ই-অরেঞ্জের প্রতারণা: ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি