শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ঝিলটুলী মহল্লার মসজিদ বাড়ি সড়কের ল্যাব এশিয়া নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কথিত চিকিৎসক মো. মকবুল হোসাইন (৪৬) মাগুরা জেলার সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা।
‘মকবুল একজন ভুয়া চিকিৎসক’ উল্লেখ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেন ফরিদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা মো. নাসিমউদ্দিন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বেসরকারি হাসপাতালে র্যাবের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী হাকিম আফরোজ শাহীন খসরু।
আফরোজ শাহীন খসরু জানান, মকবুল তার ডিগ্রি সম্পর্কিত কোনো সনদ দেখাতে পারেননি। মকবুল তার অপরাধ স্বীকার করেননি। এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সম্ভব না হওয়ায় নিয়মিত মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে।
পরে, ফরিদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা মো. নাসিমউদ্দিন বাদী হয়ে মকবুলকে আসামি করে ২০১০ সালের বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের ২২ ধারার ২৮(১) অনুচ্ছেদে অভিযোগ এনে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তা মো. নাসিমউদ্দিন জানান, ভুয়া চিকিৎসক মেডিকেল পেশার জন্য হুমকি স্বরূপ। এদের দ্বারা ভুল চিকিৎসায় মানুষ প্রতারিত হয়।