এদিকে পদ্মায় পানি বাড়ায় অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। জেলায় চার উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে শহরের আসা সড়ক।
এদিকে, বুধবার চরভদ্রাসন ও বোয়ালমারীতে সাপে কেটে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মারা গেছে তিন শিশু।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, এবারের পানি বৃদ্ধির হার যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বর্তমানে পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৯.৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৭০ শতাংশই পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকের ক্ষেতের ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।’
জেলার সদরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান জানান, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়ক যোগযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানকার মানুষগুলো মানবিক জীবন যাপন করছে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘আমরা জেলার নিম্নাঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। এছাড়া পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত রয়েছে।দুর্গতরা প্রয়োজন মনে করলে সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন।’