ইতোমধ্যে ২ হাজার পরিবারকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও বন্যার্ত এলাকার মানুষরা গবাদি পশু নিয়ে বেড়িবাঁধসহ উঁচু স্থানগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় ৩০ ইউনিয়নের ১৭৫ গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছ। লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতির মুখে রয়েছেন।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি এখন বিপদ সীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
এদিকে, তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে মধুমতি নদী তীরের আলফাডাঙা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে।
আর পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় নতুন করে ১০ গ্রাম প্লাবিত
সদর উপজেলার নর্থচ্যানাল ইউনিয়নে ৫০০ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, পানি রাখার ক্যান ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবেলট বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসক।
নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান বলেন, ‘এ ইউনিয়নের ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেকে বিভিন্ন সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারের কিছু সহায়তা পেয়েছি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এগুলো অনেক কম।’
আলিয়াবাদ ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ডাবলু বলেন, বেড়িবাঁধে কয়েক শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রতিদিন তাদের দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার পানিবন্দী মানুষের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে ২০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জেলার নিম্নাঞ্চলের অনেকগুলো আঞ্চলিক সড়কে পানি ওঠে যাওয়ায় যান চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’