তারা হলেন-কুমিল্লা জেলার বি-পাড়া থানার সিদলাই উত্তরপড়া গ্রামের হাকিম সরকার ওরফে জজ মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন সরকার (৪০), একই জেলার দেবিদ্বার থানার ভৈষরকুট গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে জায়েদুর রহমান ওরফে আব্দুল্লাহ (৩৮)। তারা আনসার আল ইসলামের দাওয়াহ বিভাগের সদস্য।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির বিস্ফোরক, গুলি, ওয়ান শুটার গান, জঙ্গি পুস্তক ও লিফলেট উদ্ধারেরও দাবি ডিবি পুলিশের।
শুক্রবার বগুড়ার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে সদরের বাঘোপাড়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
ডিবি পুলিশের ভাষ্য, ইকবাল ও জায়েদুর তাদের সংগঠনের দাওয়াতি কার্যক্রম ও অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জেলা সফরের অংশ হিসেবে বগুড়ায় এসেছেন। তারা রাত যাপনের জন্য সেখানে গেলে পুলিশের কাছে খবর আসে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছে মসজিদ ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তাদের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ওয়ান শুটারগান, ২ রাউন্ড গুলি, বোমা তৈরির বিস্ফোরক ৪৭৫ গ্রাম, চাপাতি, ২৫ জঙ্গি বই, খাতাপত্র ও ৫০ লিফলেট উদ্ধার করা হয়। তাদের নামে বগুড়া সদর থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক জানান , প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গত ৫ বছর ধরে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দাওয়াহ বিভাগের কার্যক্রম চালানোর কথা স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে তারা দেশের ১৪ জেলা সফর করেছে। সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ করছিল।