জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তিতাস জানান, সোনাতলা উপজেলায় যে দুজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তারা ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। আর সদর উপজেলায় যে তিনজনকে গৃহ-অন্তরীণ রাখা হয়েছে তাদের দুজন চীন থেকে এবং একজন ফিরেছেন ইতালি থেকে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, বিদেশ সফর করে আসা এই পাঁচ নাগরিক এখনও সুস্থ আছেন। তবে, নিয়ম অনুযায়ী তারা ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এদিকে, বগুড়ায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পৃথক পৃথক ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ২৫ সদস্যের মেডিকেল টিম ও জরুরি সেবা দেয়ার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী ও পুরুষদের আইসোলেশন ১৪ বেডের ২টি ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে বেড বাড়ানো যাবে বলে জানিয়েছেন শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।
তিনি বলেন, অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেনকে প্রধান করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রাখা আছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য লোকালি মাস্ক, গাউন, হ্যান্ডওয়াশ মজুদ করা হয়েছে। ২৫টি পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিপি) মজুদ আছে। রিজার্ভে রাখা হয়েছে ৫০০ মাস্ক, ৫০০ ক্যাপ।
এদিকে, করোনার কারণে জনগণকে আতঙ্কিত না হতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। জনসচেতনা বাড়াতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁঞা বুধবার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।