মৃত চিকিৎসক গাজী শফিকুল আলম চৌধুরী (৭৬) গাজী রিয়াল এস্টেটের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। এতে ইনফেকশন হলে শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন মরহুমের চাচাতো ভাই অধ্যাপক তৌহিদুল আলম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে করোনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
তবে তার স্ত্রী সুস্থ রয়েছেন। তার দুই ছেলে ইংল্যান্ড প্রবাসী।
তিনি আরও জানান, ১৯৬৫ সালে গাজী শফিকুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে দীর্ঘ ৪০ বছর ইংল্যান্ডে সরকারি চাকরি জীবন শেষে ২০০৫ সালে দেশে ফিরে আবাসন ব্যবসা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাভারে করোনায় চিকিৎসকের মৃত্যু
মরহুমের প্রথম জানাজা বগুড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রবিবার বাদ জোহর এবং দ্বিতীয় জানাজা বাদ আসর গ্রামের বাড়ি গাবতলি উপজেলার দক্ষিণ পাড়া ইউনিয়নের উপজগ্রামের চৌধুরীপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুতে বগুড়া রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ারুল করিম দুলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতারা গভীর শোক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় করোনা আক্রান্ত নারী চিকিৎসকের মৃত্যু
এদিকে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা রবিবার ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ২৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৫৩ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৭১৩ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেলের চিকিৎসকের মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১২ হাজার ৯০০টি। অ্যান্টিজেন পরীক্ষাসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩১৬টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮.৬৬ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.২৮ শতাংশ। মোট মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে যশোরে চিকিৎসকের মৃত্যু
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯২৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ৩৮ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায় ৪ নভেম্বর।