তারা হলেন- শেরপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম (৬৫), শহরের খান্দারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ (৬০) এবং নওগাঁরর মহাদেবপুর উপজেলার ওষুধ ব্যবসায়ী অনিল কুমার (৬২)।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার প্রধান মিজানুর রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম ভোর সাড়ে ৫টায় নিজ বাসায় মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, করোনা উপসর্গে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভোর সাড়ে ৪টায় মারা যান ওষুধ ব্যবসায়ী অনিল কুমার। বিকালে তার পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তিনি ১৪ জুলাই টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে নমুনা পরীক্ষা করেন।
এছাড়া, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র আব্দুর রহিম রুবেল জানান, ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ বৃহস্পতিবার রাত ১টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা দুই শিফট থেকে বাড়িয়ে তিন শিফটে উন্নীত করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে নমুনা পরীক্ষা বাড়বে।
শুক্রবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে বগুড়া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন জানান, ১৬ জুলাই পর্যন্ত জেলায় ২৩ হাজার ৬৭৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফল পাওয়া গেছে ২১ হাজার ৭৭ জনের। নতুন ৫৭ জনসহ মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩১ জন। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৫ জন।