আটককৃতরা হলো- রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দাওয়াতী প্রধান (এহসার) রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বেটুবাড়ী গ্রামের মো. আতাউর রহমান ওরফে হারুন ওরফে আরাফাত (৩৪), রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বায়তুলমাল প্রধান ও নওগাঁ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পোরশা উপজেলার কাশিতারা নতুনপাড়ার গোলাম মোহাম্মাদের ছেলে মো. মিজানুর রহমান ওরফে নাহিদ ওরফে মোরছাল (৪২), গাইবান্ধা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত (এহসার) গাইবান্ধা সদরের রামচন্দ্রপুরের আব্দুল গোফ্ফারের ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম ওরফে সিদ্দিক (২৭), বগুড়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত (গায়েবে এহসার) বগুড়ার সারিযাকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর বাঁধ (করমজা পাড়া) এলাকার মো. হামিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৪)।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া ও পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা যৌথ অভিযান চালিয়ে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বাকুড়তলা বাসস্ট্যান্ড থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির চার নেতাকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, এক কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ৮টি গ্রেনেড তৈরির বডি, ১০টি সার্কিট, ৩টি ধারাল অস্ত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়ার ভাষ্য, আটককৃত জেএমবি নেতারা গোপন পরিকল্পনা করছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বগুড়ার মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে তারা পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে তাদের গোপন পরিকল্পনা বেরিয়ে আসবে।