জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রবেশ মুখেই নওগাঁ ‘অনুপ্রেরনার বাতিঘর’ চত্বর গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে একটি ঘরে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, যুদ্ধকালীন ইতিহাস ও তার পারিবারিক ইতিহাস জানবার জন্য বইসহ বিভিন্ন উপকরন রাখা হয়েছে।
এছাড়াও এ চত্বরে বঙ্গবন্ধুকে জানার পাশাপাশি উপজেলা ভিত্তিক বিশ্রামাগার ও মা-শিশুদের জন্য ব্রেষ্ট ফিডিং কর্নার নির্মাণ, বঙ্গবন্ধুর নওগাঁ সফর ও প্রতিদিনের দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়।
বই পড়তে আসা কয়েক জন বলেন, ‘অনুপ্রেরনার বাতিঘর’ এ এসে বঙ্গবন্ধুর জন্ম, বঙ্গবন্ধুর বেড়ে উঠা, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, যুদ্ধকালীন ইতিহাস ও তার পারিবারিক ইতিহাসসহ অনেক কিছু জানতে পারলাম। যা আগে এত কিছু জানা ছিল না। জানা থাকলেও সঠিক জানতাম না।নতুন প্রজন্মর জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অল রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষ অনেকেই জানে না। তাই এটা নতুন প্রজন্মের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য।
জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, মুজিব বর্ষে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মাঝে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে, তার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিতে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তারুণ্যকে উজ্জীবিত রাখতে স্থাপিত করা হয়েছে 'অনুপ্রেরণার বাতিঘর'।