জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বন্যায় জেলায় ১৭ হাজার ৫৫৬ হেক্টর আবাদি জমির ফসল সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়। এর মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় ১১ হাজার ৬৬২ হেক্টর জমির ফসল। এতে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৫৮ জন কৃষকের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা ও শাকসবজির।
জেলায় ৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর পাট, ৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর আউশ ধান, ১ হাজার ৭১ হেক্টর আমন বীজতলা, ৯৫৩ হেক্টর শাকসবজি, ৩০২ হেক্টর তিল, ২০৫ হেক্টর মরিচ, ১৪০ হেক্টর চিনা, ২০ হেক্টর কাউন ও ১৪ হেক্টর ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে যেসব কৃষক ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন তারা পড়েছেন চরম সংকটে। আসল না ওঠায় কিস্তি দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তারা।
কৃষি বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করার জন্য ১০৫ একর কমিউনিটি বীজতলা, শতাধিক ভাসমান বীজতলা ও ১১২টি ট্রে বীজতলা করে ৭ হাজার ৬৭ জন কৃষককে সহযোগিতা দেয়া হবে। এছাড়াও ১ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে মাসকালাই কার্যক্রমের মাধ্যমে ১ হাজার ২০০ জন চাষি উপকৃত হবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বলেন, ‘এবার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আমন বীজতলা ছাড়াও করোনাকালীন এবং বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২৭ হাজার ৭৬১ জন সবজি চাষিকে পর্যায়ক্রমে প্রণোদনার আওতায় আনা হচ্ছে।’