বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন মারা গেছেন।একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৯৫ জন। যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোনিম্ন।
শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
আরও পড়ুনঃ করোনায় রামেক হাসপাতালে আরও ১২ মৃত্যু
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে বরিশালে তিনজন,ভোলায় তিনজন ও ঝালকাঠিতে দুইজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩৬ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮১৭ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৬১৮ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনা ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় আরও ৯ মৃত্যু
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ৭১ জন নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৬০৬ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৯ জন নিয়ে মোট ৫ হাজার ১৪০ জন, ভোলায় নতুন ১০৮ জনসহ মোট ৪ হাজার ৮৫১ জন, পিরোজপুরে নতুন ৫ জনসহ মোট ৪ হাজার ৬৮৭ জন, বরগুনায় নতুন শনাক্ত না থাকায় মোট ৩ হাজার ২৪৯ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ২ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ২৮৪ জন রয়েছেন।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে পনেরজনের এবং করোনা ওয়ার্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৬০ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৬০ জনের মধ্যে ১৬০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু পৌনে ৪৩ লাখ ছাড়াল
হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৪ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৭৭ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৯৭ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৮০ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯২ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সংকট,আইসিইউ সংকট এবং চিকিৎসকদের সময়মতো না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীদের স্বজনরা।