রবিবার সকালে হাসপাতালে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসককে কাজে করতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুরের পর থেকে কোনো চিকিৎসক তাদের খোঁজ খবর নেয়নি। এমনকি কোনো চিকিৎসকের দেখাও তারা পাননি। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাধারণত ২৪ ঘণ্টাই রোগীর পাশে থাকতেন। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে এখন আর তারা কেউ সেখানে নেই।
ইন্টার্ন চিকিৎসদের দাবিগুলো হলো- ডা. মাসুদ খানের দায়েরকৃত মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত ‘অসত্যের’ জন্য মানহানির বিচার করা।
গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মাসুদ খান শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সবশেষ ৩০ অক্টোবর ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর রাত ১২ টা ১মিনিটে কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করলেও কর্তৃপক্ষের সমঝোতার আশ্বাসে ওই সময় ধর্মঘট স্থগিত করা হয়। কিন্তু কোনো সমঝোতা না হওয়ায় শনিবার ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করে।