বাংলাদেশি যুবক সাইদুর রহমানের (২২) লাশ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নিকট হস্তান্তর করেছে।
মৃত্যুর প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাত ৯টায় বিএসএফ-বিজিবির নিকট লাশ হস্তান্তর করে।
নিহত সাইদুর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়গোপ টিলার হতদরিদ্র ঠেলাগাড়ি চালক হবি রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে গত বছর ১২০ কোটি টাকার মাদক, অস্ত্র ও সোনা জব্দ
উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে জাদুকাটা নদীতে শ্রমিকদের সঙ্গে কয়লা কুড়াতে যান সাইদুর। এরপর সকালে তার পরিবার জানতে পারেন সীমান্তের মেইন পিলার ১২০৩ থেকে প্রায় এক-দেড় কি.মি. ভারতের অভ্যন্তরে মেঘালয় রাজ্যের ঘোমাঘাট বিএসএসফ পোস্টের কাছে জাদুকাটা নদীর পূর্ব তীরে বালুচরে তার লাশ পড়ে রয়েছে। তবে কীভাবে সাইদুরের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি এবং বিএসএফের পোস্টের কাছেই কেনই বা লাশটি পড়ে রয়েছিল তাও স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার নিহতের পরিবার ও সীমান্তে থাকা লোকজন জানান, সোমবার দিনভর ভারতীয় বিএসএফ পোস্টের কাছে পড়ে থাকা সাইদুরের লাশ ওইদিন সন্ধ্যার পর নলিকাটা পুলিশের কাছে বিএসএফ হস্তান্তর করেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মেঘালয়ের রাণীগড় নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার
তারা আরও জানান, পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় দুপুর অবধি সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার নিহতের ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেন। ওই অবস্থায় বেলা পৌনে দু’টায় তাহিরপুরের লাউরগড় সাহিদাবাদের শুন্য রেখায় নির্মাণাধীন সীমান্তহাটে ২৮-বিজিবির লাউরগড় ক্যাম্প কমান্ডার-১১ বিএসএফ’র ঘোমাঘাট কোম্পানি হেডকোয়ার্টারের বিএসএফ’র মধ্যে অনির্ধারিত পতাকা বৈঠক হয়। পরবর্তীতে নিহত সাইদুরের নিজ ইউনিয়ন বড়দল উওরের জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের সদস্যদের ডেকে নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় ২৮-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তছলিম এহসান বলেন, বিজিবির উপস্থিতিতে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানা পুলিশ রাতেই ওই যুবকের লাশ তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে: বিজিবিকে প্রধানমন্ত্রী