বাগেরহাটের মোংলায় চিংড়িঘের থেকে একটি লবণ পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বন বিভাগের সদস্যরা বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের একটি চিংড়িঘের থেকে ওই কুমিরটি উদ্ধার করে। পরে কুমিরটি সুন্দরবনের ভারানি খালে অবমুক্ত করা হয়।
কুমিরটি সুন্দরবনের নদী-খাল হয়ে ভাসতে ভাসতে ওই চিংড়িঘের যায় বরে বন বিভাগ জানায়। এনিয়ে দুই মাসে সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে যাওয়া চারটি কুমির উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
মঙ্গলবার উদ্ধার করা কুমিরটির বয়স আনুমানিক সাত বছর, দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ ফুট এবং ওজন ১০ কেজি।
আরও পড়ুন: রামপালে জেলেদের জালে কুমির, সুন্দরবনে অবমুক্ত
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, বুড়িরডাঙ্গা এলাকার আকরাম আলী মঙ্গলবার সকালে তার চিংড়িঘেরে কুমির দেখে তাদেরকে খবর দেয়। তারা গিয়ে চিংড়িঘের থেকে অক্ষত অবস্থায় কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গহীনে ভারানি খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।
প্রায়ই কেন কুমির সুন্দরবনের নদী-খাল ছেড়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের নদী-খালে এখন কুমিরের সংখ্যা অনেক বেশি। বনের বিভিন্ন নদী-খালে কুমির বিচরণ করে। অনেক সময় ভাসতে ভাসতে কুমির অন্যত্র যেতে পারে। তারা খবর পেলেই কুমিরসহ যে কোন বন্যপ্রাণি উদ্ধার করে নিয়ে এসে সুন্দরবনে অবমুক্ত করে।
বন বিভাগের তথ্য মতে, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে এপর্যন্ত জন্ম নেয়া ২০৬টি লবণ পানির কুমির সুন্দরবনের নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে প্রজনন কেন্দ্রে দুই থেকে ৯ বছর বয়সের ৯২টি কুমির রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে জেলের বাড়ি থেকে কুমির উদ্ধার
ফরিদপুরে উদ্ধার হওয়া কুমির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে