বাবা-মার সাথে বাড়িতে রেখেই তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে শিশুটিকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনও তুলে নেয়া হয়েছে।
করোনাযোদ্ধা ওই পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনা জয়ী দুই বছরের শিশু অর্থ রায়ের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারি দক্ষিণ পাড়া গ্রামে। তার বাবা অলোক রায় এবং মা অর্পিতা রায়ও এখন করোনা মুক্ত। বাবা, মা আর বোনের নামের প্রথম অক্ষরের সঙে মিল রেখেই ওই শিশুটির নাম রাখা হয়েছে অর্থ রায়। অর্থ নামের আক্ষরিক এই অর্থ একদিন বাস্তবে রুপ পাবে এমন প্রত্যাশা অর্থর মা-বাবার।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান জানান, দুই বছরের শিশু এবং তার মা-বাবা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ওই পরিবার তাদের সার্বক্ষণিক নজর দারিতে ছিল। বিশেষ করে শিশুটিকে নিয়ে তারা চিকিৎসার সব ধরনের প্রস্তুতি রেখে ছিল। বারবার শিশুটিকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন তারা শিশুটি এবং তার মা-বাবার খোঁজখবর রেখেছে।
দুই সপ্তাহ বাদে পুনরায় পরীক্ষা করে শিশু এবং তার মা ও বাবার করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। এখন তারা সবাই করোনা মুক্ত।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফ আলম জানান, শিশুটি এবং তার মা-বাবা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তারা ওই বাড়িটি লকডাউন করে রাখে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে খাদ্য সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।
নিজে সার্বক্ষণিক ওই শিশুটির খোঁজখবর রেখেছেন জানয়ে তিনি বলেন, ‘ওই পরিবারটি করোনামুক্ত হওয়ায় লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। করোনাযোদ্ধ ওই পরিবারটিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়েছে।’
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, দুই বছরের শিশু অর্থ রায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং চিন্তার বিষয় ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিদিন তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা হয়। শিশুটিকে তাদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, শিশু অর্থ ছাড়াও বাগেরহাট শহরে এক স্বাস্থ্য কর্মীর আট মাসের এক শিশু, ফকিরহাটে তিন বছরের এক শিশু এবং শরণখোলায় ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা করোনা জয় করেছে। করোনা জয়ী এসব শিশু এবং বৃদ্ধা তাদের গভীর পর্যবেক্ষণে ছিল বলে জানান তিনি।