এ সময় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে একটি টিম শহরের বড় বাজারের পাইকারি আড়ৎ, খুচরা বাজারসহ চালের আড়তগুলো মনিটরিং করেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, করোনার প্রভাবের কারণ দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা গত কয়েকদিনে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন সবজিসহ সব পণ্যের দাম কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে চালের দাম। গত কয়েকদিনে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার প্রভাবে এমনিতেই কিছু পণ্যের সংকট আছে। তার ওপর গুজবে কান দিয়ে ক্রেতারাও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পণ্য কেনার কারণে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে।
জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, কোনো অবস্থাতেই নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করা যাবে না। যারা এমন অসাধুপায় অবলম্বন করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
তিনি জানান, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন জেলা সদরসহ চারটি উপজেলাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজার মনিটরিং করবেন। কোনো অবস্থাতেই বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না। যারা এমন দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকবে গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তালিকা করে তাদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ক্রেতাদের উদ্দেশে বলেন, গুজবে কান দেবেন না। দেশে সব প্রণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। অহেতুক গুজবে কান দিয়ে অতিরিক্ত পণ্য কিনতে বাজারে না আসারও আহ্বান জানান তিনি।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়াহিয়া খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সিব্বির আহমেদ ও জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।