শুধু তাই নয় এ সময় দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ওই ছাত্রীর বাবা ও মা গুরতর আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, রবিবার গভীর রাতে ৪ সদস্যের দুর্বৃত্তের দল ওই গ্রামের ভোক্তভূগীর বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তার তার বাবার মাথায় আঘাত করে। পরে তার মাকে মারপিট করে স্বর্ণের চেইন ও গলারহারসহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এরপর নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী এলজিইডি খামারের পাশে ধর্ষণ করে।
আহত অবস্থায় মেয়েটি পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে প্রতিবেশীরা তাকেসহ তার বাবা ও মাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তার এবং তার স্ত্রীর মোবাইলে প্রায় মেয়েকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মেসেজ আসতো। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এ ঘটনাটি পরে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জু, রাজারহাট উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পিসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, ‘পুলিশ দুর্বৃত্তদের ধরতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।’