স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত একমাসে (২০ মার্চ পর্যন্ত) যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বিদেশফেরত ব্যক্তির সংখ্যা ৮৬০ জন। তবে উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মাত্র ১৭ জন। যার মধ্যে ১৪ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নেয়া হয়েছে।
এদিকে আগে থেকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা বিদেশফেরত ৩ জন ও ইতালিফেরত এক দম্পতির পরিবারের ৬ জন কোয়ারেন্টাইন থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদিকে উপজেলায় ৮৪০ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির কোনো হদিস নেই। এছাড়া ২১- ২২ মার্চেও অনেকে বিদেশ থেকে চৌগাছায় এসেছেন। তাদেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারত থেকে যারা এসেছেন তারাও কোয়ারেন্টাইনের বাইরে রয়েছেন। শনিবারও ভারতের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তিনজন চৌগাছায় ফেরার তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ‘নতুন করে ১৪ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া আগের ১২ জনের মধ্যে ৯ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৭ জন।’
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকার ১৪ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় খুঁজে নতুন করে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুরনোদের মধ্যে ৯ জনকে মুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অন্য যারা ১০ মার্চের পর বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গঠিত কমিটির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য করা হবে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব বলেন, তথ্য অনুযায়ী লুকিয়ে থাকা প্রবাসীদের সন্ধান করা হচ্ছে। তাদেরকে খুঁজে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হবে।