ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়ায় বিয়ের দাবিতে এক সেনা সদস্যের বাড়িতে এক নারী অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার বিকালে ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের মন্ডলাদাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই সেনা সদস্যের নাম ইব্রাহীম খলিল। তিনি মন্ডলাদাম গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে।
মেয়েটির দাবি তার সঙ্গে ওই সেনা সদস্যের দীর্ঘ আড়াই বছরের প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ওই সেনা সদস্য বিভিন্ন সময়ে তাকে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিয়ে একান্তে সময় কাটাতেন। মেয়েটির দাবি ঘটনার দিনও ইব্রাহীম খলিল তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তার বাড়িতে ডেকে আনে। মেয়েটি আসলে খলিল বাড়িতেই তার সঙ্গে সময় কাটানোর পরে পরিবারের চাপে পড়ে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে। এ সময় খলিলের বাড়ির সদস্যরা মেয়েটিকে জোর করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন চালায়। ভুক্তভোগী মেয়েটি এসময় খলিলের বাড়ির উঠানে আশ্রয় নেন এবং উপস্থিত ব্যক্তিরাসহ সাংবাদিকদের কাছে বিচার চেয়ে একটি লিখিত আবেদন দেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ৫৩ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
এদিকে অভিযুক্ত ইব্রাহীম খলিলকে একাধিকবার কল করলেও সে কল রিসিভ করেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি।
২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন বলেন, এ বিষয়ে মেয়েটির বাড়ি যেহেতু ১নং রুহিয়া ইউনিয়নে। সেজন্য আমি রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবুকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা দুই চেয়ারম্যান মিলে মীমংসার উদ্যোগ নিয়েছি।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহীদুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক ক্রিকেটার বিপু আর নেই