খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন তল্লাশিকে কেন্দ্র করে বেনাপোলে বিজিবি ও রেল পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে তিন রেল পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় রেল পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা পুলিশ সুপার রবিউল হোসেন নামে এক রেল পুলিশের সঙ্গে ছবি তোলা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হলে রেল পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে যশোরে থামবে খুলনা-কলকাতা রুটের ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’
বিজিবি এ সময় আহত মোমিনুল ইসলাম নামে এক রেল পুলিশের সদস্যকে ধরে নিয়ে যায়।
আহত রেল পুলিশের সদস্যরা হচ্ছেন- মো. সেতাফুর রহমান, রেল পুলিশ মো. ইনতাজুল হক এবং রেল পুলিশের সদস্য মো. মোমিনুল ইসলাম।
খুলনা বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা পুলিশ সুপার রবিউল হোসেন জানান, এএসপি মজনুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
বেনাপোল রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জামান, কাস্টমস কর্মকর্তা ছাড়া ট্রেনে যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশি করা যাবে না রেল পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য রাখার পর বিজিবি সদস্যরা মারমুখী আচরণ করে। পরবর্তীতে বিজিবির ২০/২২ জনের একটি টিম এসে রেল পুলিশের (আরএসবি) মো. মমিনকে তাদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় বিজিবি ক্যাম্পে।
রেল পুলিশ মোমিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় অন্যান্য রেল পুলিশ সদস্যরা বাধা প্রদান করলে বিজিবি তাদের ওপর হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে মো. সেতাফুর রহমান ও মো. ইনতাজুল হককে আহত অবস্থায় নাভারন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর আহত রেল পুলিশ মোমিনকে বিজিবি’র হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় রাত দশটায়।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেদ মো. মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, সামান্য ঘটনায় উভয়ের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটি মীমাংসা হয়ে গেছে।
পুলিশ তাদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
আরও পড়ুন: খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস থেকে ভারতীয় ওষুধ-পণ্য জব্দ