২৫ বছর আগে নির্মিত ব্রিজটি গত এক যুগ ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ সেতুর ওপরে গাড়ি নিয়ে উঠতে গিয়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে সাত জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
তাদের অভিযোগ, ভাঙা ব্রিজটিতে গাড়ি উঠার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে মৃত্যুর ঘটনা তো ঘটছে পাশাপাশি বহু লোক পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন এই ভাঙা ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটির ওপর দিয়ে এলাকার হাজার হাজার মানুষ উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন। প্রায় দুই যুগ আগে সেতুটি নির্মাণ হওয়ার পর গত কয়েক বছর আগে সেতুর বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা উঠে গিয়ে সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পাশাপাশি সরু এই সেতুর দুই পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীবাহী সকল যানবাহনকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এলাকার ক্রাউন্সিলর আবু হানিফ বলেন, ‘৯৫-৯৬ সালের দিকে ভাটা নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। বর্তমানে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার পরও মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ এই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। সেতুটিত যানবাহন উঠলে কেঁপে উঠে। যে কোনো সময় এটি ভেঙে পড়তে পারে।’
এ ব্যাপারে নবীনগর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র শিব শংকর দাস জানান, সেখানে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণে শিগগিরই প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।