এর আগে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে তিন দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত লোকমান (২৮) মাধবপুর উপজেলার মালঞ্চপুর গ্রামের আব্দুল হাশিমের ছেলে।
হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত ২৪ মে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই থানা এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেন লোকমান। এ সময় ওপারের লোকজন তাকে গরু চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করে জঙ্গলে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই তিনি মারা যান।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানান, গত বুধবার বাংলাদেশের মোহনপুরে আলীশাহ মাজারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লোকমানের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভারত সরবরাহ না করায় লাশ গ্রহণ সম্ভব হয়নি। পর দিন বৃহস্পতিবার ভারত একইভাবে লাশ হস্তান্তর করতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ রাজি হয়নি।
সর্বশেষ শুক্রবার রাতে ভারতীয় পুলিশ নিহতের করোনা নেগেটিভ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ যাবতীয় কাগজপত্র এবং লাশ মাধবপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ রাতেই লাশটি পরিবারের কাছে তুলে দেয়।