শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের স্ত্রী নিভা রাণী পাঠক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
তবে এ ঘটনায় বাড়ির তিনজন পুরনো ও বর্তমান কেয়ারটেকারসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন-ব্যনাহাটি গ্রামের বিপুল বিশ্বাস, বিধান রায়, অরবিন্দু দাস, ভ্যানচালক অমরেশ রায় ও নিহতের এক আত্মীয় রজত পাঠক।
মামলার বাদী নিভা রাণী পাঠক বলেন, কারো নাম উল্লেখ না করেই মামলা হয়েছে। শুনেছি জমিজমা নিয়ে শরিকদের সাথে ঝামেলা ছিল। কাদের সাথে ছিল বা কোনো মামলা ছিল কিনা তাও বলতে পারব না। তাছাড়া আমার স্বামী একজন নিরীহ লোক, এলাকায় তার কোনো শত্রু থাকতে পারে না। যারাই হত্যা করুক তিনি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শিমুল কুমার দাস জানান, আটক পাঁচজনের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সবাইকে আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মাউশির উপ-পরিচালক নিভা রাণী পাঠক, তার ছেলে প্রকৌশলী ইন্দ্রোজিৎ রায় এবং এক মেয়ে চিকিৎসক ইন্দিরা রায় চাকরির সুবাদে জেলার বাইরে অবস্থান করেন। গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি গ্রামে নিভা রাণীর স্বামী অরুণ রায় একা থাকতেন।
গত ২৩ অক্টোবর সারাদিন অরুণ রায়ের ফোন বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা। পরে সন্ধ্যার পর নীভা রাণী ও ছেলে ইন্দ্রোজিৎ খুলনা থেকে বাড়িতে এসে গেট বন্ধ পেয়ে মই বেয়ে দ্বিতল ভবনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অরুণ রায়কে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।