নয়ন নড়াইল জেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের আবুল কালাম বাশ্বাসের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবদুস সালাম জানান, দুপুরে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটাবাজার থেকে নয়নকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এরপর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে নয়ন বলেন, ভিকটিম রেহেনার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেহেনার কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে মালয়েশিয়ায় যায়। একপর্যায়ে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসে পর রেহেনা বিয়ের জন্য নয়নের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। বিয়ে করবে না বলে রেহেনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের ২০ মার্চ নয়ন তার ফুফাতো ভাই মিন্টুর ইঞ্জিনচালিত ভ্যানযোগে মামা ইমাদুলসহ তিনজন একত্রে নড়াইল থানার সিংগীয়া গ্রাম থেকে রওনা হয়ে মাগুরা আড়পাড়া বাসস্ট্যান্ডে যান। ওই দিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়নসহ অভিযুক্তরা আড়পাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে রেহেনাকে ভ্যানে তুলে নেয়। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঘারপাড়ার আরজি বল্যামুখ গ্রামের বালিয়াডাঙ্গা বামনহাটি কাঁচা রাস্তাসংলগ্ন পতিত জমিতে নিয়ে অভিযুক্ত নয়ন ভিকটিম রেহেনার গলা চেপে ধরে ও ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে স্বীকার করেন।
পর দিন ২১ মার্চ নিহত রেহেনার মা সাইদা বেগম অজ্ঞাত আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
এদিকে, বাঘারপাড়া থানা পুলিশ রেহেনা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে প্রধান আসামি নয়ন বিশ্বাসের মামা ইমামুল বিশ্বাসকে আটক করে। আটক ইমামুল নড়াইল জেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের বাল্লক চান ওরফে বাকা বিশ্বাসের ছেলে।