এবারের পিইসিতে জিপিএ-৫ বা এ+ অর্জন করা ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছে সে।
লিতুন জিরা মণিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জাহানারা বেগমের মেয়ে। সে খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
অন্য শিশুদের মতো স্বাভাবিকভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে লিতুনের শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে তার বাবা-মা বলেন, ‘জন্মের পর মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতাম। কিন্তু তার মেধা, কঠোর পরিশ্রম আর সাফল্য নতুন আশার সঞ্চার করেছে।’
ওই শিক্ষার্থীর মা জাহানারা বেগম বলেন, আর দশজন শিশুর মতো স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া, গোসল সব কিছুই করতে পারে লিতুন। মুখ দিয়েই লেখে সে।
আরো পড়ুন: নতুন হুইল চেয়ার পেল হাত-পাবিহীন লিতুন জিরা
পরনির্ভরশীল না হয়ে লেখা পড়া শিখে নিজেই কিছু করতে চায় লিতুন জিরা। নিজের স্বপ্নকে সত্যি করতে, মুখ দিয়েই লেখা শুরু করেছিল সে। প্রথম দিকে সহজ না হলেও, সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে লিতুন।
খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাজেদা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষকতা জীবনে লিতুনের মতো মেধাবী শিক্ষার্থী কমই দেখেছি। শুধু লেখাপড়া নয়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও অন্যদের থেকে অনেক ভালো সে।’
প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর মেধা দিয়েই দুই হাত-পা ছাড়া জন্মগ্রহণ করা লিতুন জিরা পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে বলেও জানান তিনি।